বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ ফাইফার এখন তাইজুলের

১ সপ্তাহে আগে
যে উইকেটে ২৪৭ রান করতেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের ‘মরি মরি’ অবস্থা, সেখানে রান পাহাড়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ইনিংসের জবাবে ৪৫৮ রান দাঁড় করিয়েছে তারা। বাংলাদেশের কেউ অর্ধশতক না পেলেও এক পাথুম নিশাঙ্কাই করেছেন ১৫৮ রান। এত নেতিবাচক দিকের মধ্যে একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে। শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়ে উঠার দিনেও ফাইফার তুলে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

তাইজুল ইসলামকে বাংলাদেশের গুটি কয়েক টেস্ট স্পেশালিস্টের মধ্যে একজন মনে করা হয়। তার প্রমাণও সময়ে সময়ে দিয়ে যাচ্ছেন বাঁহাতি স্পিনার। কলম্বোয় ১৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৭তম ফাইফার।


বাঁহাতি স্পিনার বিবেচনায় সর্বোচ্চ ফাইফারধারীদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন তাইজুল। শীর্ষ স্থানটা শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথের দখলে। ১৭০ ইনিংসের ৩৪টিতে ৫ উইকেট বা তার বেশি করে নিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২০। তিন নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। ১২১ ইনিংসে তিনি ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন ১৯ বার।


আরও পড়ুন: ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করলো বাংলাদেশ


অর্থাৎ সাকিবকে পেছনে ফেলার জন্য আর দুবার ৫ উইকেটই যথেষ্ট তাইজুলের। টেস্টে উইকেটের হিসাবে সাকিবকে পেছনে ফেলার দৌড়েও খুব বেশি পিছিয়ে নেই তিনি। সাকিব নিয়েছেন ২৪৬ উইকেট, তাইজুলের উইকেটসংখ্যা ২৩৭টি। তবে তাইজুল জানিয়েছেন, সাকিবকে পেছনে ফেলার আলাদা টার্গেট নেই তার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘৫ উইকেট পাওয়া আনন্দের। সাকিবের থেকে বেশি ৫ উইকেট পাওয়া নিয়ে আলাদা টার্গেট নেই। তবে ৫ উইকেট পাওয়া সব সময় ভালো লাগার বিষয়।’


তাইজুল কথা বলেছেন টেস্টে বাংলাদেশের দুর্দশা নিয়েও। তিনি বলেন, ‘২৫ বছরে আমাদের এই অবস্থানে থাকার জন্য শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দেয়া উচিত হবে না। অবকাঠামোগতভাবেও আমরা অনেক পিছিয়ে। ২৫ বছরে ৫–৬ নম্বরে থাকলে ভালো লাগতো।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন