বর্ষা মৌসুমের আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন, হুমকিতে তীর রক্ষা বাঁধ

১ সপ্তাহে আগে
বর্ষা মৌসুম এখনও শুরু না হলেও যমুনা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর সঙ্গেই সিরাজগঞ্জের সদর, কাজিপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদীভাঙন। প্রতিদিনই ভাঙনের কবলে পড়ছে বসতবাড়ি, রাস্তা, গাছপালা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি।

সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার হচ্ছে সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী, পাঁচঠাকুরি, শিমলা, ব্রাহ্মণবইরা ও জিয়া মোড় এলাকা। নদীর তীব্র স্রোতের আঘাতে পশ্চিম পাড়ে গাছপালা, আখ, পাটসহ কয়েক বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূল বাঁধের বেশ কয়েকটি অংশ।

 

ভাটপিয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে পানি বাড়ায় নদীর তীরের ওপর তীব্র আঘাত হানছে স্রোত। এতে ভাঙনের তীব্রতাও বেড়ে গেছে।’

 

স্থানীয় সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘ভাঙন অব্যাহত থাকলে বর্ষায় হুমকির মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশপাশের শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদ-মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখন থেকেই আমরা রাতভর ভাঙনের আতঙ্কে ঘুমাতে পারি না।’

 

আরও পড়ুন: চলাচলের রাস্তায় বেড়া, ৮ দিন ধরে অবরুদ্ধ সিরাজগঞ্জের একটি পরিবার

 

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘ভাঙন রোধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

 

তবে স্থানীয়দের দাবি, অস্থায়ী ব্যবস্থার পাশাপাশি টেকসই রক্ষা বাঁধ নির্মাণ না করলে বর্ষা মৌসুমে ডানতীর রক্ষা বাঁধ ও অভ্যন্তরের ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়বে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন