বর্জ্য শোধনাগারের জটিলতায় বছরে ৫০ কোটি ডলার হারাচ্ছে বাংলাদেশ!

৩ দিন আগে
সাভারের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারে আটকে আছে চামড়া রফতানির ভবিষ্যৎ। এটি পুরোপুরি চালু না হওয়ায় মিলছে না আন্তর্জাতিক সনদ। পরিস্থিতি উত্তরণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে শোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পরামর্শ বিশ্লেষকদের। আর আসছে বাজেটে রাসায়নিক আমদানিতে কর সুবিধা চেয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।

তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হলেও নানা জটিলতায় এগোতে পারছে না চামড়া খাত। গত পাঁচ বছরে প্রক্রিয়াজাত করা চামড়ার রফতানি আয় ছিল গড়ে ১২ কোটি ২৩ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এই আয় ১০ কোটি ডলার, যা বছর ব্যবধানে ৮ শতাংশ কম।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চামড়া শিল্পের উন্নয়নে বড় বাধা সাভারের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার বা সিইটিপি। এটি পুরোপুরি চালু না হওয়ায় মিলছে না আন্তর্জাতিক সনদ। বাধ্য হয়ে কম দামে রফতানি করছেন চামড়া। এ বি এস ট্যানারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম হোসেইন বলেন, এলডব্লিউজি সনদ ছাড়া বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন। প্রতিবছর লোকসান গুনতে গুনতে ব্যবসায়ীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।

 

সিইটিপির সব মেশিন সচল হয়েছে উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ জানায়, ইইউর তত্ত্বাবধানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি রোডম্যাপ দ্রুত পাওয়া যাবে। সহজে মিলবে এলডব্লিউজি সনদ। সংকট নিরসনে বেসরকারি অংশীদারিত্বের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

 

আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ

 

ঢাকা ট্যানারি এস্টেট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম শাহনেওয়াজ বলেন, সিইটিপির ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে মেশিনের সক্ষমতা।

 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এত বছরেও এটি পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি। সংকট নিরসনে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে।

 

কাঙ্ক্ষিত রফতানি না হওয়ায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আসছে বাজেটে রাসায়নিক আমদানিতে ভ্যাট কমানো ও চামড়া ক্রয়-বিক্রিতে উৎসে কর মওকুফ চান উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ায় খরচও বেড়ে যাচ্ছে। এতে চামড়া বিক্রির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।

 

বিটিএর তথ্য, এলডব্লিউজি সনদ না থাকায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে বছরে প্রায় ৫০ কোটি ডলার আয় হারাচ্ছে বাংলাদেশ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন