বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব যাত্রীবাহী ও মালবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৬ কিলোমিটার। ফলে নদ-নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বরিশাল অঞ্চলের কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, গজারিয়া ও কালাবদর নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়া রোড, মুন্সি গ্যারেজ, শীতলাখোলা মোড়, জিয়া সড়কসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও ব্যবসায়ীরা।
বগুড়া রোডের বাসিন্দা মিসবাহ হোসেন বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়। এখন তো ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বাসা থেকে বের হওয়া যায় না।’
দোকান মালেক শেখ বলেন, ‘আমার দোকানে পানি ঢুকে গেছে। মালামাল উঁচুতে তুলেও রক্ষা করতে পারিনি। জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’
নগরবাসীর অভিযোগ, বরিশালে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে বহুবার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই নিচু এলাকাগুলো জলাবদ্ধতায় ডুবে যায়।
]]>