বরিশালে বেড়েছে লবণাক্ততা, উদ্বিগ্ন কৃষকরা

১ সপ্তাহে আগে
বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাড়ছে লবণাক্ততার পরিমাণ, যা ফসলি জমি এবং নদীর পানিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক ফসলি জমিতেই অতিরিক্ত লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা কৃষকদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১০ বছরের ব্যবধানে ১৬টি নতুন নদীতে লবণাক্ততা বেড়েছে বলে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণায় উঠে এসেছে। 

 

বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার কৃষকরা বলছেন, ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সেচের জন্য নদীর পানি ও মাটিতে লবণাক্ততার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে। 

 

মৃত্তিকা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, সেচের জন্য পানিতে ১৫-২০ ডিএস এবং মাটিতে ২৫ ডিএস পার মিটার লবণাক্ততা পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে ছিল মাত্র ২ ডিএস।

 

গবেষণা অনুযায়ী, ১০ বছর আগে আন্ধারমানিক, বিষখালীসহ ৪টি নদীতে শুকনো মৌসুমে লবণাক্ততা পাওয়া গেলেও বর্তমানে কীর্তনখোলা ও ভোলার একাংশসহ দক্ষিণাঞ্চলের আরও ২০টি নদীতে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: পটুয়াখালী বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা: উদ্যোক্তাদের দুর্ভোগ চরমে

 

কৃষকেরা বলছেন, ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ায় তাদের জীবনযাপন চরমভাবে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তারা সেচের জন্য পানি ও জমির লবণাক্ততার বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের আশা প্রকাশ করেছেন।

 

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করে উপযোগী ফসল রোপণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, পানি সংরক্ষণাগারের জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

গবেষণা বলছে, যদি কৃষি জমির মাটিতে ১২ ডিএস এর বেশি লবণাক্ততা থাকে, তবে সেগুলি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বরিশাল বিভাগের ৮ লাখ ২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৪ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে লবণাক্ততা পাওয়া গেছে, যা কৃষকদের জন্য বড় বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন