রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত লিমা ছিলেন সোহরাবের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে, ২০০৯ সালে গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী মিলি বেগমকে হত্যা করেন। সেই মামলার রায়ে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছিল। সেই মামলার রায় কার্যকর হওয়ার আগেই তৃতীয় স্ত্রীর খুনের ঘটনায় ফের ফাঁসির আদেশ এল সোহরাবের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ সংরক্ষণে বরিশালে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান শুরু
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) মোকলেছুর রহমান বাচ্চু বলেন, ২০১১ সালে মুলাদী উপজেলার চরকালিখোলা গ্রামের লিমাকে তার প্রথম স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স করিয়ে বিয়ে করেন একই এলাকার সোহরাব হোসেন আকন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই শুরু হয় যৌতুকের চাপ। দুই লাখ টাকা দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৩ সালে স্ত্রী লিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।
পরে নিহতের ছোট বোন ডলি বেগম মুলাদী থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে দীর্ঘ সাক্ষ্য–প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে সোহরাবের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় লাশ গুমের অপরাধে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আদালত প্রাঙ্গণে রায় ঘোষণার সময় নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে ভারতে পাচারের পর মৃত্যু: যুবকের যাবজ্জীবন
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোকলেছুর রহমান বাচ্চু আরো বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার পর উচ্চ আদালত থেকে আসামি জামিন নিয়েছিলেন। সেই অবস্থায় আসামি জোর করে লিমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আসামী তার স্বশুর বাড়ি (লিমা) ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মোকলেছুর রহমান বাচ্চু বলেন, একজনের পর একজন স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যা—এমন নৃশংসতার কঠোর শাস্তিই সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’