বরিশালে এসএসসিতে ফেল করায় ২ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৪ সপ্তাহ আগে
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় বরিশালের হিজলা, বাবুগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাঁচজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দুজন ছাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বাকিদের অবস্থাও গুরুতর।

হিজলা উপজেলার বিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্পিতা মাতুব্বর (১৬) ফলাফল খারাপ হওয়ায় নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেয় বলে জানিয়েছে পরিবার। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অর্পিতা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের অমল মাতুব্বরের মেয়ে।

 

একই উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের খাদেম হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোরশেদা আক্তার ইমা (১৬) আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীর চারটি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল

 

বাবুগঞ্জ উপজেলার কাজল খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মীম ইসলাম (১৬) ফলাফলে অকৃতকার্য হয়ে বিষপান করেছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে। মীম দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের হুমায়ুন কবীরের মেয়ে।

 

বাকেরগঞ্জ পৌরসভার জহিরুল ইসলামের মেয়ে তনি আক্তার (১৭) এবং নিয়ামতি চামটা গ্রামের আউয়াল হোসেনের মেয়ে মুরছানা আক্তার (১৭) ফলাফল জেনে বিষ ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৩ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ

 

এ ঘটনায় মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় জোর দেয়ার তাগিদ দিয়ে শিক্ষাবিদ ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফলাফলে হতাশ হয়ে শিক্ষার্থীদের এমন চরম পদক্ষেপ রোধে পরিবার ও সমাজের আরও সহানুভূতিশীল হওয়া জরুরি। ফলাফল জীবনের শেষ নয়, এই বার্তাটি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বোর্ড কমিটির প্রকাশিত ফলাফল থে‌কে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৬৭ শতাংশ ও ফেলের হার ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় পাশের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ জেলায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৫৮ জন শিক্ষার্থী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন