বন্যায় বিপর্যস্ত চীন, বেইজিংয়ে প্রবীণ নিবাসেই মারা গেলেন ৩১ জন

১ সপ্তাহে আগে
চীনজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে অন্তত ৩১ জন মারা গেছেন বেইজিংয়ের একটি প্রবীণ নিবাসে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহ আগে চীনজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গত সোমবার (২৮ জুলাই) বেইজিং ও আশপাশের প্রদেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

 

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ের মিয়ুনের তাইশিতুনের একটি বয়স্কদের কেয়ার হোমে অন্তত ৩১ জন মারা গেছেন। কেয়ার হোমটি মিয়ুন জলাধারের উজানে অবস্থিত।

 

মিয়ুনের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউ ওয়েইগুও জানিয়েছেন, সোমবার কর্তৃপক্ষকে এই এই কেয়ার হোমে আটকে পড়াদের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু রাস্তায় পানির স্রোতের কারণে তাদের উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়।

 

আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় ৩০ জনের ‍মৃত্যু, নিরাপদ স্থানে ৮০ হাজার বাসিন্দা

 

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলেনে ইউ বলেন, যে শহরে বয়স্কদের কেয়ার হোমটি ছিল সেটি দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ ছিল। সেটি থেকে লোকজনদের স্থানান্তারের কোনো পরিকল্পনাও ছিল না।

 

তিনি বলেন, ‘তবে এই মর্মান্তি দুর্ঘটনায় আমাদের জরুরি পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল এবং প্রতিকূল আবহাওয়া সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সচেতন ছিলাম না।’

 

বন্যার সময় নার্সিং হোমে মোট ৬৯ জন বয়স্ক লোক ছিলেন, যাদের মধ্যে ৫৫ জনই চলাফেরায় অক্ষম ছিলেন। মৃতদের মধ্যে কেয়ার হোমের রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বরত কেউ ছিলেন কিনা এখনো জানা যায়নি।

 

আরও পড়ুন: ‘উপকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরে প্রতি পরিবারে ক্ষতি লক্ষাধিক টাকা’

 

এদিকে কাছাকাছি হেবেই প্রদেশেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চেংদে শহরে মারা গেছেন ৮ জন এবং এখনও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

 

প্রাথমিক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বেইজিংয়ের ডেপুটি মেয়র জিয়া বলেন, বেইজিংয়ে বৃষ্টি ও বন্যায় মোট ৩ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২৪ হাজারের বেশি বাড়িঘর, ২৪২টি সেতু এবং ৭৫৬ কিলোমিটার (৪৭০ মাইল) রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন