সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাড়ির পাশের পুকুরে অর্ধগলিত লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
সাজাদুল ইসলাম উপজেলার জায়গীরহাটে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা করতেন। তার একটি তিন বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
এর আগে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালাইপুর গ্রামে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শফিকুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ নিখোঁজ হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাতে একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন সাজাদুল ইসলাম। এরপর আর বাড়িতে ফেরেনি, তাই পরিবার থানায় জিডি করতে যায়। তবে ২৪ ঘণ্টার না হওয়ায় পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। পরে পরিবার মাইকিংয়ের মাধ্যমে নিখোঁজ সাজাদুলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল তাসকিয়া, খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে গেল প্রাণ
বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে রাতে বন্ধুর ফোন পেয়ে বের হয়। এরপর আর বাড়িতে ফেরেনি। আমরা অনেক খোঁজাখবর করেও তাকে পাইনি। পরে খবর পাই, তাকে পুকুরে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। কেন এমন হলো, আমরা জানি না। আমরা চাই সুষ্ঠু বিচার হোক।’
একমাত্র আদরের ছেলে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা শাবানু বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে, খুব কষ্ট করে মাস্টার্স পাশ করিয়েছি। কখনো অভাব বুঝতে দেইনি। হঠাৎ কে ফোন দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে এমন করেছে, আমরা জানি না। আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুর রহমান জানান, ফোন সংবাদে জানা যায়, কেউ সাজাদুল ইসলামকে মেরে পুকুরে ফেলে রেখেছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।
]]>