নিহত বিপুল যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আখতার হোসেনের ছেলে। তিনি এসিআই গ্রুপের ডিপোর একজন শ্রমিক ছিলেন।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, কৌশলে অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে ফোন করে বিপুলকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর পূর্ব শত্রুতার জেরে ষষ্ঠীতলা এলাকার বাপ্পী ও তার সহযোগীরা বিপুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পিতা আখতার হোসেন বলেন, বিপুল ও বাপ্পী এক সময় বন্ধু ছিল। বাপ্পী মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তার স্ত্রী সুমাইয়া তাকে তালাক দেয়। পরে সুমাইয়া বিপুলকে বিয়ে করলে বাপ্পী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময় আমাদের বাড়ির সামনে বোমাবাজিও করেছে সে। বিষয়টি থানায় জানালেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: তালাকের পর মামলা করায় স্ত্রীর ওপর এসিড নিক্ষেপ প্রাক্তন স্বামীর
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শাকিরুল ইসলাম বলেন, বিপুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। হত্যার ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।