বদনজর কি সত্য, নবীজি যা বলেছেন

৩ দিন আগে
বদনজর একটি বাস্তবতা, যা মানুষের মনে হিংসা বা ঈর্ষার কারণে অন্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানবজীবনে বিভিন্ন সংকট ও বিপদের একটি কারণ হিসেবে বদনজরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ইসলামে।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বদনজর সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। এটি থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন দোয়া ও প্রতিকার শিখিয়েছেন। বদনজর একজন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

 

বদনজরের বাস্তবতা কী?

 

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

 

বদনজর সত্য। এটি এমন একটি প্রভাব যা মানুষকে উঁচু স্থান থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। (মুসনাদে আহমাদ: ২৪৭৩)।

 

বদনজর বা ঈর্ষার দৃষ্টি একজন মানুষের সাফল্য, সৌন্দর্য, সম্পর্ক এবং জীবনের অন্যান্য দিকগুলিতে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে, সৌন্দর্য অসুন্দর করতে পারে, ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে পারে এবং এমনকি একটি সুখী জীবনকে বিষাদে পরিণত করতে পারে।

 

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, 

 

কোনো বস্তু যদি তাকদিরকে অতিক্রম করতে পারতো, তবে তা হতো বদনজর। (তিরিমিযী ২০৫৯, আহমাদ ৬/৪৩৮)

 

বদনজরের প্রভাব

 

বদনজরকে একটি আধ্যাত্মিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা সরাসরি আল্লাহর ইচ্ছার অধীন। এটি আল্লাহর একটি সৃষ্টি, যা মানুষ থেকে মানুষে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। বদনজরের কারণে পরিবার ধ্বংস হয়, সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হয়, এমনকি জীবন ও জীবিকার ক্ষতিও হতে পারে।

 

আরও পড়ুন: শিশুর নাম রাখার ক্ষেত্রে ইসলামের ৩ নির্দেশনা

 

নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

 

আমার উম্মতের মধ্যে তাকদীরের মৃত্যুর পর সর্বাধিক মৃত্যু হবে বদ নজর লাগার ফলে। (আত তারিখ, বুখারি)।

 

বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া

 

বদনজর একটি গুরুতর বিষয়, যা থেকে আমাদের সচেতন থাকা উচিত। এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে এবং রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শেখানো দোয়া ও প্রতিকার গ্রহণ করতে হবে। বদনজর থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর সাহায্য চাওয়া এবং নিয়মিত দোয়া করা প্রয়োজন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন