বগুড়ায় ইয়াবাসহ তিন পুলিশ ও এক আনসার সদস্য গ্রেফতার

১ সপ্তাহে আগে
বগুড়ায় মাদক কারবারের অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে ৮৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।


বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুলিশের পোশাকধারী কেউ অপরাধ করলে বাহিনী তার দায় নেবে না। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


গ্রেফতাররা হলেন- বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম (৩৩), জয়পুরহাট সদর ট্রাফিকে কর্মরত কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) আব্দুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমির ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২।


ডিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাতমাথার একাত্তর আবাসিক হোটেলের সামনে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে- এমন খবরে অভিযান চালায় তারা। অভিযানে তিনজন পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরে আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের ব্যাগ তল্লাশি করে ৭০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।


আবু সুফিয়ানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, সাখাওয়াত হোসেন ও আব্দুল ওয়াহাব বিকাশে ইয়াবা বিক্রি করে অর্থ গ্রহণ করতেন। সাখাওয়াত হোসেনের বিকাশ নম্বর থেকে ২৭ হাজার টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।


তারা আরও জানান, বগুড়ার পুলিশ লাইন্সে কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম তাদের কাছ থেকে ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছেন। পরে নবাববাড়ী সড়কের পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে তাকে আটক করে তার ব্যাগে থাকা ১৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।


আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশ সদস্যদের ওপর মাদক কারবারিদের হামলা, গুরুতর আহত ২


রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিবি পুলিশ ফের মাটিডালি এলাকায় গিয়ে নায়েক আব্দুল আলীমকে গ্রেফতার করে। পরে ডিবি পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।


বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল ওয়াহাব ও আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায়। নায়েক আব্দুল আলীমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়। আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান বিগত সরকারের আমলে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বাসভবনে ডিউটি করতেন, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন বঙ্গভবনে ডিউটি করতেন। অপর দুজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।


তিনি আরও বলেন, তারা একে অপরের সঙ্গে পূর্বপরিচিত এবং ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর চারজন চার জেলায় বদলি হলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল এবং তারা মাদক কারবার করতেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন