শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সমাবেশের শেষ দিকে বক্তব্য দিতে ডায়াসে আসেন জামায়াত আমির। কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান।
সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে জড়িয়ে ধরেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি আবার উঠে দাঁড়ান। পরবর্তীতে মঞ্চে বসেই তিনি বক্তব্য আবার শুরু করেন।
অসুস্থ হওয়ার আগে জামায়াত আমির বলেন, ২৪-এ আন্দোলনটা না হলে আজ যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলছেন তারা কোথায় থাকতেন? অতএব আসুন তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আল্লাহ যে নেয়ামত দিয়েছেন তা অবজ্ঞা না করি। তাদের শিশু বলে যেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করি। অহংকারভরে অন্য দলকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করি। যদি এগুলো আমরা পরিহার করতে না পারি, যারা পারবেন না, তাহলে বুঝতে হবে ফ্যাসিবাদের রূপ তাদের মধ্যে নতুন করে বাসা বেঁধেছে।
এরপর তিনি মঞ্চে পড়ে গেলে নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আবার বক্তব্য শুরু করেন ডা. শফিকুর রহমান।
আরও পড়ুন: ছবিতে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ
অসুস্থ অবস্থাতেই পরে বসে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করবো। ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে। জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায় এবং মানুষের ভালোবাসায় বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আজ আমি লক্ষ্য জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ঘোষণা দিচ্ছি, আগামী দিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকারি প্লট গ্রহণ করবে না। কোনো এমপি-মন্ত্রী ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বে না। নিজের হাতে কোনো টাকা চালাচালি করবে না। কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি সরকারি বরাদ্দ পান, তাহলে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হবেন। এছাড়া চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। আমরা চাঁদা নিতে দেব না, দুর্নীতি আমর সহ্য করব না। এমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।’
আরও পড়ুন: মতলব পূরণ হবে না বলে অনেকে পিআর পদ্ধতি চান না: তাহের
]]>