ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে এই ৩ পানীয়

৬ ঘন্টা আগে
আজকাল ফ্যাটি লিভার (লিভারে চর্বি জমা) রোগ খুবই সাধারণ একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুরুতে এর কোনো লক্ষণ না থাকলেও, এই সমস্যা সময়ের সাথে সাথে অনেকটা বাড়তে পারে, যা সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের মতো মারাত্মক অবস্থায় পরিণত হতে পারে। তবে ভালো খবর হলো – প্রথম ধাপের ফ্যাটি লিভার একদম ঠিক করা সম্ভব। আর এই কাজে সাহায্য করতে পারে দৈনন্দিন কিছু পানীয়।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. শুভম বৎস সম্প্রতি তার একটি ভিডিওতে ৩টি পানীয়ের কথা বলেছেন যা ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করতে পারে। চলুন, সেই পানীয়গুলো কীভাবে আমাদের শরীরের জন্য উপকারি, সেটা জেনে নিই-

 

১. ব্ল্যাক কফি

ড. বৎস বলেন, “ব্ল্যাক কফি ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে।” এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি লিভারের এনজাইমকে সুরক্ষা দেয় এবং প্রদাহ কমায়। এর মধ্যে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফেইন শরীরের জমে থাকা চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করলে, লিভারে চর্বি জমা ৩০-৫০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে, কফির মধ্যে চিনি, ক্রিম বা দুধ না দিয়ে শুধুমাত্র ব্ল্যাক কফি পান করতে হবে। দিনে ২-৩ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করলে লিভারের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।

 

আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভারের সমাধান সহজ ব্যায়ামে

 

২. গ্রিন টি

গ্রিন টি শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করে না, এটি লিভারের স্বাস্থ্যও অনেক উন্নত করে। ড. বৎস বলেন, “গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন ও EGCG যৌগ উপাদানগুলো লিভারের চর্বি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।” গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন, তাদের লিভারের ফাংশন উন্নত হয় এবং স্টিয়াটোসিস (লিভারের চর্বি) কমে। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি পান করলে, লিভারের সুস্থতায় বড় পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যাবে। তবে, অতিরিক্ত গ্রিন টি খাওয়ার লিভারে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

 

৩. বিটরুট জুস

বিটরুট জুস লিভারের জন্য এক চমৎকার ডিটক্স পানীয়। এর মধ্যে থাকা বেটালাইনস এবং নাইট্রেট লিভারের রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এতে থাকা উপাদানগুলো লিভারের চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়, যা চর্বি কমাতে কার্যকর। ড. বৎস বলেন, “বিটরুটের জুসে থাকা উপাদানগুলি লিভারের ডিটক্স এনজাইমগুলো সক্রিয় করে এবং লিভারের সুস্থতা ফিরিয়ে আনে।” প্রতিদিন আধা গ্লাস বিটরুট জুস পান করা ভালো। তবে, কিডনিতে পাথর বা কম রক্তচাপের সমস্যা থাকলে একটু সতর্ক থাকতে হবে।

 

আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে করণীয়

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন