বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কয়েকটি আরব সংবাদমাধ্যমের সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরাইলের দ্য জেউইস ক্রনিক্যালের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কাতারের দোহায় ইসরাইলের হামলার কিছুক্ষণ আগে হামাস কর্মকর্তারা দুপুরের নামাজ পড়ার জন্য অন্য কক্ষে চলে যান। কর্মকর্তারা তাদের মোবাইল ফোন টেবিলে রেখে গিয়েছিলেন। এর ফলে ইসরাইলি ট্র্যাকিং সিস্টেম বিভ্রান্ত হয়েছে।
সৌদি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আশারক আল-আউসাত জানিয়েছে, হামাস কর্মকর্তারা মূল ভবনে নয়, একটি আলাদা বাসভবনে অবস্থান করছিলেন—আর এ কারণেই তারা বেঁচে যান।
আরও পড়ুন: জরুরি আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন ডাকল কাতার
ইসরাইলের সূত্রগুলো বলছে, দোহার হামলায় হামাসের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার একটি বৈঠক লক্ষ্য করা হয়েছিল। যার মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র নেতা খলিল আল-হাইয়া ছিলেন প্রধান লক্ষ্য।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময় কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
আরও পড়ুন: কাতারে হামলা ব্যর্থ হলেও পরেরবার কেউ বাঁচবে না
ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে।
ওই হামলার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। চীন ও রাশিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে আরব বিশ্বও।
এদিকে ইসরাইলের হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তীব্র নিন্দার মধ্যে জরুরি আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছে কাতার। আগামী রোববার ও সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
]]>