ফের আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা, দুর্ভোগে রোগীরা

৩ দিন আগে
সুরক্ষা আইনসহ পাঁচ দফা দাবিতে ফের আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে কর্মসূচি পালন করেন তারা। চিকিৎসা নিতে এসে চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও স্বজনেরা।

এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া 'ডাক্তার' উপাধি নয়, মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কোথাও কমপ্লিট এবং কোথাও আংশিক শাটডাউন ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় কর্মবিরতি। 


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপ্লিট শাটডাউন, রংপুর মেডিকেল কলেজে আংশিক শাটডাউন এবং কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজে কর্মবিরতি ঘোষণা দেয়া হয়। হাসপাতালের আউটডোরে বন্ধ থাকে চিকিৎসা সেবা।


আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৩ সালে মেডিকেল সহকারীরা 'ডাক্তার' উপাধি ব্যবহারের অধিকার চেয়ে একটি রিট পিটিশন করেছিলেন। তবে ১১ বছর ধরে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় আইনি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেডিকেল সহকারীরা অবৈধভাবে এই উপাধি ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তাদের।


আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি


হুঁশিয়ারি দিয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, দাবিগুলো পূরণ না হলে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।


তারা বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য। অনেকে এসএসসি পাস করে যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিচ্ছেন। এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে এর প্রভাবে মানুষ মারা যাচ্ছেন। এমবিবিএস ডাক্তার কোনো ওষুধ লেখার আগে ওই ওষুধের গুণাগুণ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়টি চিন্তা করেন।’



এদিকে, আন্দোলন আর বিক্ষোভে যখন উত্তাল হাসপাতালের বাইরের পরিবেশ, তখন সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের। সকাল থেকে চিকিৎসকের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় রোগীদের।


আরও পড়ুন: ৫ দফা দাবি /দেশব্যাপী মেডিকেল কলেজে একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচি চলছে


২০১০ সাল থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেয়া শুরু হয়।


ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো:


*এমবিবিএস ও বিডিএস ব্যতীত কেউ ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না।

*ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) ওষুধের তালিকা আপডেট করতে হবে।

*স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করতে হবে।

*ম্যাটস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে হবে।

*চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন