বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেনী ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে বন্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কার্যকর প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এরইমধ্যে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় অবস্থিত সেনা ক্যাম্পগুলোতে উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের জন্য ট্রাইশার্ক বোট, ওবিএম ইঞ্জিন এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর একটি চিকিৎসক দল জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: দুই জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত সহায়তা দিতেও প্রস্তুত।

সাধারণ জনগণকে যে কোনো জরুরি সহায়তার জন্য ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বন্যা মনিটরিং সেলের হেল্পলাইন নম্বর ০১৮৯৮৪৪৪৫০০ ও ০১৩৩৬৫৮৬৬৯৩-এ যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এরআগে, সোমবার (৮ জুলাই) থেকে ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি স্থান ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরইমধ্যে প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
তবে প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় নিয়োজিত রয়েছে।
এদিকে, বন্যা দুর্গত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফেনী থেকে ফুলগাজী-পরশুরাম ও ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।