ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম বড় আসর ফেডারেশন কাপ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে মাঠে নামে আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। যে দল দুটির আছে বৈরি ইতিহাস। দেশের ঘরোয়া ফুটবলে যাকে বলা হয় মডার্ন ক্লাসিকো। এ ফাইনাল ঘিরে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে বাড়তি উন্মাদনার কথা থাকলেও দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা রয়েছে রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে। গতবারের ফেডারেশনের কাপ ফাইনালও হয়েছিল এই রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামেই, ছিল গ্যালারি ভর্তি দর্শকও। তবে বছর ঘুরতেই এবার উল্টোচিত্র এই স্টেডিয়ামে। গ্যালারির চার ভাগের তিন ভাগই দর্শকশূন্য।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা, ঝড়ে উড়ে গেল ডাগআউট
ঘরোয়া ফুটবলে নেই দর্শক। এর মাঝেই ময়মনসিংহে ৫০ টাকায় টিকিট কেটে ফাইনাল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে ঢুকতে হয় দর্শকদের। ক্লাবের সমর্থক হিসেবে কিছু দর্শক মাঠে আসলেও, পকেটের টাকা খরচ করে মাঠে এসে খেলা দেখতে দর্শকরা আগ্রহ দেখায়নি বলেই মনে করছেন দর্শকরা। সেই সঙ্গে প্রচারণার অভাবকেও দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
আবু সালেহ মূসা নামে একজন বলেন, এত বড় একটি আসরের ফাইনাল হচ্ছে কিন্তু কোনো প্রচার প্রচারণাই চোখে পড়েনি। নগরীর কোথাও নেই প্যানা-পোস্টার, পর্যাপ্ত মাইকিংও করা হয়নি। এমন গাফিলতির কারণে গ্যালারির চারভাগের একভাগও পূর্ণ হয়নি।
কায়সার রিমন নামে আরেক দর্শক বলেন, গতবারের ফাইনালেও কানায় কানায় পূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম। কিন্তু সেই তুলনায় খুবই অল্প দর্শক হয়েছে। যাও হয়েছে তারা ক্লাবকে সাপোর্ট করতে এসেছে। সাধারণ দর্শকের উপস্থিতি তেমন নেই। টিকিটের দামটা যদি নামমূল্য কিংবা উন্মুক্ত করে দেওয়া হতো তাহলে অনেক শিক্ষার্থী ছাড়া যারা নিম্ন আয়ের মানুষও খেলাটা উপভোগ করতে আসতো।
আরও পড়ুন: ফাইনাল স্থগিত করা নিয়ে নাখোশ আবাহনীর ম্যানেজার
এদিকে এসব ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রচারণার বিষয়টি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ওপর দায় চাপিয়ে দর্শক উপস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাফুফের নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও ভালো দর্শক হয়েছে।