র্যাব সূত্রে জানা গেছে, নিহত সুমন ও আসামি মোমিন গাজী আগে একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। তবে সম্প্রতি চোরাই নৌকা ও স্যালো মেশিন কেনাবেচা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। এছাড়া মোমিন এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক কারবার, চুরি ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত ছিল।
২২ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে সুমন তার শ্যালকের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে জামিরা বাজারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ফুলতলা থানার পিপরাইল (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের ধানক্ষেতসংলগ্ন পাকা রাস্তায় পৌঁছালে মোমিন গাজীসহ আরও কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এরপর পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আরও কয়েকজন মিলে সুমনকে ঘিরে ধরে এবং মোমিন গাজী ও অজ্ঞাতনামা দুইজন আসামি এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
গুলিবিদ্ধ হয়ে সুমনের গলা, ঘাড় ও চোয়াল ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সুমনের বাবা পরদিন ফুলতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় আ.লীগের মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার দাবি
মামলার পরপরই র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে বুধবার রাতেই আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়। এরপর যশোর কোতোয়ালি থানার দাইতলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোমিন গাজীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুলতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
]]>