শুরুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থাকলেও বৈষম্যরোধের এ লড়াইয়ে ক্রমেই শামিল হতে শুরু করেন বিভিন্ন বয়স এবং পেশার মানুষ। গড়ে উঠে বঞ্চনার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ, যা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, পুরো পৃথিবীতেই সৃষ্টি করে এক নতুন নজির।
১০ জুলাই, সকাল ১০টা বাজতেই বাংলা ব্লকেডের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে এগোতে থাকেন শাহবাগের দিকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যারিকেডের মুখেই শাহবাগ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি চলতে থাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেল অবরোধ।
আরও পড়ুন: ফিরে দেখা: ৬ জুলাই ২০২৪
এরমাঝেই সকাল না গড়াতেই শুরু হয় আপিল শুনানি। সকলের দৃষ্টি তখন সর্বোচ্চ আদালতের দিকে। দুপুরে জানা যায়, কোটাব্যবস্থা বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ে দেয়া হয়েছে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা।
শুনানিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'রাস্তায় স্লোগান দিয়ে রায় পরিবর্তন হয় না।'
এদিকে, সরকারের একটি ডেডিকেটেড কমিশন এবং পরবর্তী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আর সরকারের তরফ থেকে আগাস্টের প্রথম সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানির মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে টানা অবরোধ কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়ে সারা দেশ। রাজধানীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা।