বিপিএল শেষ হয়ে যাওয়ার পরও পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা ছিলো। ওই অনিয়ম তদন্তে ফেব্রুয়াতেই একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। প্রতিবেদনে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও তার বোর্ডের দোষ পেয়েছে তারা। প্রতিবেদনটি সময় সংবাদের হাতে এসেছে।
বিপিএল শুরুর আগে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা ফি ও ৮ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়ার নিয়ম বিসিবির। কমিটির প্রতিবেদন বলছে, বোর্ড একমাত্র ফরচুন বরিশাল বাদে আর কারো কাছ থেকে ব্যাংক গ্যারান্টি নেয়নি। এটাকে বোর্ডের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে তারা। তাছাড়া দুর্বার রাজশাহীকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টিকিট দেওয়ার আগে অধিকতর তদন্ত করা উচিত ছিলো বলে মত তাদের।
আরও পড়ুন: ফারুকের বিরুদ্ধে ৮ পরিচালকের অনাস্থা চিঠি দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া পরিষদে
সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্য সচিব সাজিয়া আফরিন, সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও আহ্বায়ক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত তদন্তে বলা হয়েছে, ‘দল নির্বাচন, বিপিএলের ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে অন্য পরিচালকদের চিন্তা-চেতনায় দুরত্ব প্রতীয়মান হয়েছে। বোর্ড সভাপতির অন্য পর্ষদ সদস্যের মতামতের তোয়াক্কা না করা, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের মতামত উপেক্ষা করা, সর্বোপুরি সংশ্লিষ্ট পর্ষদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই নির্বাহী ক্ষমতা বলে একক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সব পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে, তথা সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে অনেক জটিলতা/অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।’
এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেকশন ও ব্যবস্থাপনা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে, ই-টিকিটিং অ্যাপস তৈরির টেন্ডার প্রভৃতি কাজে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। এক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে সভাপতির একচ্ছত্র আধিপত্যে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি তাদের।