লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচে রোববার (২৫ মে) টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। তবে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা কোয়েটার। দলীয় ১৭ রানের মাথায় সৌদ শাকিলের উইকেট হারায় তারা। প্রথম ব্রেক থ্রো-টা এনে দেন লাহোরের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি।
স্কোরবোর্ডে আর ৪ রান যোগ হতেই ফিন অ্যালেনের উইকেট হারায় তারা। সালমান মির্জার বলে হারিস রউফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার। এরপর দলের হাল ধরেন হাসান নাওয়াজ। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তোলে কোয়েটা।
আরও পড়ুন: গতরাতে ইংল্যান্ডে, ফাইনালের আগে পাকিস্তানে পৌঁছে সোজা মাঠে রাজা
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন রাইলি রুশো ও হাসান নাওয়াজ। তবে দলীয় ৫৮ রানের মাথায় রুশোর উইকেট হারালে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২২ রান।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে আভিশকা ফার্নান্ডোকে নিয়ে জুটি গড়েন হাসান নাওয়াজ। এই জুটি দলীয় স্কোর ৫৮ থেকে নিয়ে যায় ১২৫ রানে। ২২ বলে ২৯ রান করা ফার্নান্ডোকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ হোসেন। এ দিন বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে ৪২ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার করেন রিশাদ।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন হাসান নাওয়াজ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তার সঙ্গে যোগ দেন দিনেশ চান্দিমাল। ১৩ বলে ২২ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে বদলি ফিল্ডার মোহাম্মদ আজাবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: রোহিত-কোহিলর অধিনায়কত্ব নিয়ে যা বললেন শুভমান গিল
তার পরপরই সাজঘরের পথ ধরেন হাসান নাওয়াজ। শাহিন আফ্রিদির বলে সিকান্দার রাজার ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৭৬ রান। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
মোহাম্মদ আমির ফেরেন ২ বলে কোনো রান না করেই। আবরার আহমেদ ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ৮ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ফাহিম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
লাহোরের হয়ে অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি শিকার করেন ৩ উইকেট। সালমান মির্জা ও হারিস রউফ নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া সিকান্দার রাজা ও রিশাদ নেন একটি করে উইকেট।