ফলন ও দামে খুশি, লাভের আশা গাইবান্ধার পাট চাষিদের

২ ঘন্টা আগে
বাজারে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি গাইবান্ধার কৃষক। বর্তমানে গাছ কাটা, আঁশ ছাড়ানো, জাগ দেয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকারি পাট কেন্দ্রগুলো চালু হলে সোনালি আঁশের উৎপাদন আরও বাড়বে। এজন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শও দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা।

মৌসুম শেষে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পাট কাটার কাজ করছেন চাষিরা। গাছ কাটা থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানো, জাগ দেয়া ও শুকানোর কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে গত কয়েক বছর ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। এবার বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় সে দুশ্চিন্তা কাটিয়ে স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মুখে।

 

বর্তমানে প্রতিমণ পাট সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ায় লাভের আশা করছেন তারা। চাষিরা বলেন, এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে, আর বাজারে দামও সন্তোষজনক। পাটের আবাদ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন: দাম বাড়লেও পঞ্চগড়ের চা চাষিদের কপালে কেন চিন্তার ভাঁজ?

 

এদিকে, পাটের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের নানা দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাষিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। সোনালি আঁশকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে কৃষকদের পাট চাষে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

 

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে গাইবান্ধায় ১৩ হাজার ৮২২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন