ফরিদপুরে ২ নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

১ সপ্তাহে আগে
ফরিদপুর শহরতলির বায়তুল আমান বাজারের মেঘলা জুয়েলার্সে দুই নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা তালা ভেঙে দোকানের একটি আলমারি, স্বর্ণালংকার, রুপা ও নগদ টাকা নিয়ে পিকআপে করে পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ভোর পৌনে চারটার দিকে শহরতলির বায়তুল আমান বাজারের মেঘলা জুয়েলার্সে দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত নৈশপ্রহরীরা হলেন-- পার্শ্ববর্তী বিলমামুদপুর এলাকার বাসিন্দা ফয়েজউদ্দিন মাতুব্বর (৪৫) এবং মধুখালী উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আকবর শেখ (৪৫)। তারা হাসপাতালটির ক্যাজুয়ালিটি ও নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের বেশ কয়েকটি ক্ষত রয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: টঙ্গীতে নিখোঁজ ইমাম শিকলবন্দি অবস্থায় পঞ্চগড়ে উদ্ধার, কী ঘটেছিল তার সঙ্গে?


 

জানা যায়, ডাকাতির সময় বাইতুল আমান বাজারের নৈশপ্রহরী ফয়েজউদ্দিন বাজার পাহারা দিচ্ছিলেন। ডাকাতি চলাকালীন তিনি মেঘলা জুয়েলার্সের দোকানের সামনে গেলে ডাকাতরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করে। অপর নৈশপ্রহরী আকবর এগিয়ে আসলে তাকেও ডাকাতরা কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে ডাকাতদল মালামাল নিয়ে পিকআপে পালিয়ে যায়। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ডাকাতদলের দিকে এগিয়ে যায় নৈশপ্রহরী ফয়েজউদ্দিন। এ সময় তাকে দুইজন ডাকাত সদস্য দাবড়াতে থাকে। এছাড়া ডাকাতি শেষে ট্রাকে করে লুট করা আলমারি নিয়ে যাওয়া হয়, তাতে পেছনে আলমারির পাশে একজন এবং চালককে দেখা যায়। এছাড়া একইসঙ্গে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে আরও তিনজনকে চলে যেতে দেখা যায়।

 

মেঘলা জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ভোর চারটার দিকে খবর পেয়ে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার দোকানের তালা ভাঙা, ভেতরে স্বর্ণালংকার রাখা আলমিরাটি নেই। রাস্তায় আহত হয়ে নৈশপ্রহরী পড়ে ছিল। তবে ডাকাত সদস্যরা নৈশপ্রহরীদের চিৎকারে আলমিরাটি নিয়ে চলে যায়, তবে সিন্দুক নিতে বা ভাঙতে পারেনি। কিছু স্বর্ণ, রৌপ্য ও নগদ টাকা ছিল যা নিয়ে গেছে।

 

বায়তুল আমান বাজার কমিটির সভাপতি আলাউল হোসেন তনু জানান, অল্প পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ নগদ কিছু টাকা নিয়ে গেছে। আহত নৈশপ্রহরীদের চিৎকারে হয়ত তড়িঘড়ি করে চলে যায় ডাকাত সদস্যরা। তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, ডাকাতদলকে গ্রেফতার করা হোক এবং আমাদের নিরাপত্তা দেয়া হোক।

 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, এটা ডাকাতি ছিল না, এটা এক ধরনের দস্যুতা। তারা সংখ্যায় ছিল তিনজন। তবে সিসি ক্যামেরায় আরও তিনজনকে দেখার বিষয়ে বলেন, রিকশায় আহতরা হতে পারে। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন