জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে দুটি ঈদ উৎসব ও রোজা পালন করে থাকেন। একদিন আগে যারা দুইটি ঈদ উৎসব ও রোজা পালন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯টায়, মাইটকুমরা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, মাইটকুমরা লস্করবাড়ি জামে মসজিদে সাড়ে ৯টায় এবং সহস্রাইল দায়রা শরিফে সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে তারা পশু কোরবানি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরের ২৫ গ্রামে ঈদ উদ্যাপন
শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি ঈদগাহের ইমাম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা এক সময় এখানে ঈদের নামাজ পড়াতেন। ৫ বছর ধরে বাবার পর থেকে আমি এখানে নামাজের ইমামতি করি। আজকে আমরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছি।’
সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক মো. মাহিদুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের লোকজন একদিন আগে দুইটি ঈদ ও রোজা পালন করে। আজকে আমরা সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছি।’
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ২৫ গ্রামে চলছে ঈদুল আজহা উদ্যাপন
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দুইটি ঈদ উদ্যাপন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
]]>