ফতুল্লায় গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা, স্বামী-দেবর আটক

৬ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝর্ণা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্বামী শাফিন ও দেবর শাকিলকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন মাওলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত চার বছর আগে পারিবারিকভাবে ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার জয়নাল মিয়ার মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের (২৮) বিয়ে হয় পাশের এলাকা মাওলাবাজারের জজ মিয়ার ছেলে শাফিনের (৩৫) সঙ্গে। তাদের সংসারে তায়েবা নামে দুই বছর বয়সের একটি শিশু কন্যা সন্তান রয়েছে।

 

দুপুরে স্বামী শাফিন ও দেবর শাকিল মিলে ঝর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন প্রতিবেশীরা জানতে চাইলে শাফিন জানায়, ঝর্ণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: এসএমপি ও চাঁদপুরে চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি সেবা

 

ঝর্ণার বাবা জয়নাল বলেন, ‘স্বামী শাফিন ও তার বাবা মা প্রায় সময় ঝর্ণাকে মারধর করতো। কয়েকদিন আগেও শাফিনের মা মারধর করে ঝর্ণার কান রক্তাক্ত করেছে। আজও ঝর্ণাকে চুলের মুঠি ধরে দেয়ালে আঘাত করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করেছে।’

 

ঝর্ণার কপালে ও শরীরে রক্তাক্ত জখম রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে ঝর্ণার এ অবস্থা দেখি। পরে শাফিন ও তার ছোট ভাই শাকিলকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। ওই সময় শাফিনের বাবা ও মা পালিয়ে যায়। আমরা প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’

 

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

 

এ ব্যাপারে মামলা সহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি শরিফুল ইসলাম।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন