শনিবার (৩ মে) বিকেলে পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তা মোড়ে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, পটুয়াখালী জেলা শাখা আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, যারা নির্বাচনের জন্য বার বার কথা বলছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করেছি নির্বাচনের পরে ক্ষমতায় গিয়েই বা কী করবেন? এখনই তো নিজেদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। যদি তা না পারেন, তাহলে ক্ষমতায় গিয়ে কী ঘটাবেন, তা আমাদের জানা আছে।
তিনি বলেন, এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কার। যৌক্তিক সংস্কারের পরে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। আর প্রথমে স্থানীয় নির্বাচন, তারপর জাতীয় নির্বাচন এইটাই যুক্তিসঙ্গত।
আরও পড়ুন: মানুষ ইসলামী শাসন দেখতে চায়, সেই পরিবেশ হয়েছে: চরমোনাই পীর
৫ আগস্টের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রেজাউল করীম বলেন, ‘যখন দেশে অস্থিরতা চলছিল, রাস্তাঘাট রক্তে রঞ্জিত, মা-বোনদের কান্না থামেনি, তখন আমরা দেশের সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। কারণ আমরা বুঝেছি ভারতের চোখ এই দেশটির দিকেই তাকিয়ে আছে। সুযোগ পেলেই তারা আন্তর্জাতিকভাবে সংখ্যালঘু ইস্যু তুলে ধরে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করবে।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও চরমোনাই পীরের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
তিনি দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজদের উদ্দেশে বলেন, এক শ্রেণির নরপশু চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং ঘাট-স্টেশন দখলে লিপ্ত হয়েছে। আমি ওদের ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশ থেকে এদের উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে হবে।