প্রয়োজনীয় নথির অভাবে ভারতে রুশদির ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ এর নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে

২ সপ্তাহ আগে
গত কয়েক দশক ধরে সালমান রুশদির জন্মস্থান ভারতে তার বই দ্য স্যাটানিক ভার্সেস এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চলছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা চালু থাকবে কি না, সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। এ ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর আগে লেখকের ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাওয়ার ঘটনায় কারো মন গলেনি, বরং প্রয়োজনীয় নথির অভাবে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে  নয়াদিল্লির এক আদালত পাঁচ বছর আগে দায়ের করা আবেদনের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ করেছে। এই উপন্যাস আমদানির ওপর তৎকালীন সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে এই আবেদনটি জারি করা হয়। ধর্ম অবমাননার দায়ে সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্রোধের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত এই বইটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হওয়ার কয়েকদিন পরই ভারত সরকার এটি নিষিদ্ধ করে। ভারতের বার্তা সংস্থা  প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিচারপতি রেখা পল্লীর নেতৃত্বাধীন আদালতের বেঞ্চের রায় অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা জারির স্বপক্ষে কোনো প্রজ্ঞাপন বা অনুলিপি হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে। উপসংহারে বিচারপতিরা বলেন, “যার ফলে, আমরা বাধ্য হয়ে ধরে নিচ্ছি যে এ ধরনের কোনো প্রজ্ঞাপনের অস্তিত্বই নেই”। বাদি সন্দীপন খান যুক্তি দেন, ১৯৮৮ সালের ৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ডের জারি করা প্রজ্ঞাপনের কারণে তিনি এই বইটি কিনতে পারেননি। এই প্রজ্ঞাপন মতে, বইটি ভারতে আমদানি করা নিষিদ্ধ। তিনি আরও জানান, তিনি এই প্রজ্ঞাপনটি কোনো আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও জোগাড় করতে পারেননি। সন্দীপনের আইনজীবী উদ্যয়ম মুখোপাধ্যায় বলছেন, আদালতের রায় এটাই বলছে যে এখন আর এই উপন্যাসটি ভারতে আমদানির ওপর কোনো বাধা থাকছে না।  এপিকে তিনি বলেন, “তবে এর মানে,এই বইটি এখন বইয়ের দোকানে বিক্রি হবে কী না—তা আমি জানি না। সেটা প্রকাশক ও বিক্রেতাদের ওপর নির্ভর করবে।” রুশদির সাহিত্য বিষয়ক এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলির সঙ্গে এপি যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক রুশদিও জনসম্মুখে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তার এক্স অ্যাকাউন্টে ১০ লাখেরও বেশি ফলোয়ার আছে। সেখানে সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে পোস্ট করেন তিনি। ভারতে রুশদির প্রকাশক পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম হাউস ইন্ডিয়া শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এ রায় “একটি উল্লেখযোগ্য, নতুন ঘটনা” এবং তারা “পরবর্তী ধাপ নিয়ে ভাবছে”।
সম্পূর্ণ পড়ুন