‘প্রেস’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে তুলে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৭

৩ সপ্তাহ আগে
রাজধানীর মালিবাগ থেকে এক মোটরসাইকেলচালককে অপহরণ করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল একটি চক্র। তবে অপহরণের মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যেই ওই চালককে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৪। একই সঙ্গে অপহরণে জড়িত চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (১ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহে র‍্যাব-১৪-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক নয়মুল হাসান।


আটকরা হলেন- ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাহমুদনগর গ্রামের রিফাত হাসান ওরফে মিন্টু (২৯), মামুন অর রশিদ (২৪), পাঠানতুলা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (২৯), পশ্চিম দাপুনিয়া গ্রামের আল আমিন (৩৫), তাঁতকুড়া গ্রামের মোতালিব (৩৬), ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার শিকদারকান্দা গ্রামের মিরাজ খাঁ (৫২) এবং ঢাকার মালিবাগ রেলগেট এলাকার আমিন কাজী (২২)।


র‍্যাব জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মালিবাগ থেকে ফকিরের পুল যাওয়ার পথে এক মোটরসাইকেলচালক কামরুল হাসানকে 'প্রেস' লেখা স্টিকারযুক্ত মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে চক্রটি। গাড়িটি হঠাৎ করে কামরুলের সামনে এসে থামে। এরপর গাড়ি থেকে ১০–১২ জন নামিয়ে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে উঠিয়েই তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শুরু হয় মারধর। একপর্যায়ে চক্রটি চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।


ভুক্তভোগী কামরুল হাসান (৩২) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ধামাহার শোলাগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং করে জীবিকা নির্বাহ করেন।


সংবাদ সম্মেলনে কামরুল বলেন, আমি ভয়েই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পরে প্রাণভয়ে মুক্তিপণের টাকা দিতে রাজি হই। তখন তারা মোবাইলটি চালু করে দেয়। আমি আমার গ্রামের এক পরিচিত ভাইকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। আমার পরিবারের সদস্যরা এরপর র‍্যাবকে জানায়। পরে ময়মনসিংহের চুরখাই এলাকায় র‍্যাব টহল বসিয়ে কামরুলকে উদ্ধার করে এবং অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করে।


আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, ইউএনওর ড্রাইভার গ্রেফতার


র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কখনো 'সাংবাদিক', কখনো 'ডিবি পুলিশ', আবার কখনো 'এনবিআর কর্মকর্তা' পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে আসছিল। গাড়িতে 'প্রেস', 'পুলিশ', 'এনবিআর' লেখা স্টিকার ব্যবহার করতেন তারা। এমনকি সংসদ সদস্যের লোগোও ব্যবহার করত অপহরণের কাজে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন