এ ঘটনায় আহত ওই শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তের নাম হাসান শিকদার (২২)। তিনি বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালি গ্রামের হক মিয়া শিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মৎস্যজীবী দলের সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
পুটিয়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাইজুর রহমান বলেন, ‘দুপুরে বিরতির সময় হঠাৎ স্কুলের ক্যাম্পাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ডাক-চিৎকার শুনতে পাই আমরা। তখন আমরা শিক্ষকরা ছুটে যাই। এ সময় ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই এবং হাসান শিকদার নামে অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে দেখি। তখন আমরা ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আমার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত হাসান শিকদার। বিষয়টি আমার মেয়ে আমাদের জানায়। এরপর আমরা স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমে হাসানের অভিভাবকদের বিষয়টি অবগত করি। এতে হাসানের ওপর তার অভিভাবকরা চড়াও হন এবং বাড়ি থেকে বের করে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হাসান আমার মেয়েকে স্কুলে গিয়ে কুপিয়ে যখন করে।’
আরও পড়ুন: দোকানঘর ভাড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে ৮ জনকে কুপিয়ে জখম
পুটিয়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক আবদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীকে আমি বরিশাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওর বাম হাতের দুটি আঙুল আংশিক কেটে গেছে এবং বাম হাতের কনুইয়ের নিচে জখম হয়েছে। সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওর অপারেশন হয়েছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাসান শিকদারকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি, তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।’