সোমবার (১২ মে) দুপুরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বঙ্গভিটা গ্রামে সাথী আক্তারের স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সাথীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে রতনকে আটক করা হয়।
আব্দুস সালাম রতন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বঙ্গভিটা গ্রামের আবু হকের ছেলে। সাথী আক্তার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলবাড়ী গ্রামের হাকিমুল হকের মেয়ে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে যৌতুক না পাওয়ার কারণে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সাথে সাথীর কলহ লেগেই ছিল। মাদক সেবনের অভ্যাস ছাড়লে টাকা দিতে চেয়েছিলেন সাথীর বাবা। দুপুরে হঠাৎ বাড়ি থেকে সাথীকে ইজিবাইকে তুলে রতনসহ পরিবারের স্বজনরা হাসপাতালের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় রতন ও তার বাবা আবু হককে বলতে শোনা যায় সাথী গলায় ফাঁস দিয়েছিল। এর বেশি কিছু কেউ বলতে পারছে না।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ রিজিয়া মারা গেছেন
সাথীর মা সাহাবানু ও বাবা হাকিমুল হক অভিযোগ করে বলেন, সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে, জানানো হয় আমার মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ে মারা গেছে। আমার বিশ্বাস আমার মেয়েকে ওর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে হত্যা করেছে। বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে হয় আব্দুস সালামের সঙ্গে। পরে জানতে পারি সে মাদকাসক্ত এবং মেয়েকে প্রায়ই মারধর করত। তিন মাস আগে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করলে মেয়ে নানির বাড়ি চলে আসে। পরে ক্ষমা চেয়ে ফের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়। আজ হাসপাতালে এসে দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে। গলায় অসংখ্য দাগ ছিল।
এদিকে ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন সাথীর শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক রতন কুমার জানান, গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।