রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক।
দেশীয় প্রকাশনাকে কাজ না দিয়ে ভারতকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ায় কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নষ্ট হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, টিউলিপসহ অন্য কারও মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হয়ে থাকলে; সেই টাকা দেশে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। এরইমধ্যে এসব বিষয়ে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
এছাড়াও ৪০৪ কোটি টাকার অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলেও জানান তিনি।
এদিন এনসিটিবিতে অভিযান চালিয়েছি দুদক। গত সরকারের আমলে পাঠ্যপুস্তুকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির নথিপত্রও সংগ্রহ করেছে তারা। নিম্নমানের পাঠ্যপুস্তুক ও অবৈধভাবে ভারতীয় কোম্পানিকে পাঠ্যপুস্তুক ছাপানোর কাজ দেয়ার অভিযোগের সত্যতার খোঁজে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড-এনসিটিবিতে দুদক অভিযান চালায় বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তার নামে লকার খুঁজে পায়নি দুদক
দুদকে আসা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ শুরু হলে, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি ছাপাখানা দরপত্রে অংশ নেয়। পরে শুধু ভারতের কয়েকটি ছাপাখানা একচেটিয়া কাজ পায়। কলকাঠি নাড়েন এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষকসহ অন্যরা। এমন কী ২০১৭ সালের সর্বনিম্ন দরদাতা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে; সরকারের উচ্চমহলের ইশারায় ২ কোটি বই ছাপানোর কাজ যায় ভারতের হাতে। নিম্নমানের ছাপার মান নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠলেও নিশ্চুপ ছিল বিগত সরকার।
দুদকের উপ-সহকারি পরিচালক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, এসব অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত কিংবা পরামর্শক হিসেবে কারা ছিলেন, তা বের করতে চায় সংস্থাটি।
তিনি আরও বলেন, সময়মত বই না দেয়া ও নিম্নমানের কাগজের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি সাবেক চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তিন বার বই ছাপানো তদারকির নামে ভারত ভ্রমণ করেন তিনি। এছাড়াও ভারতে বই ছাপানোর তথাকথিত তদারকি করতে খরচ করেছেন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এনসিটিবির সচিব শাহ্ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌসও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ভারতীয় কোস্পানি পাঠ্যপুস্তুক ছাপানোর যে কাজ পায় সেগুলো হলো-কৃষ্ণা ট্রেডার্স, ভিকে উদ্যোগ, গফসন ও পৃতম্বরা বুকস এবং সুদর্শন বোর্ড অ্যান্ড পেপার।
]]>