প্রতি বছর কোরবানির পশুর হাটের চিত্রই জানান দেয় ঈদুল আজহার আগমনী বার্তা। অন্যবার ঈদের প্রায় ১৫ দিন আগেই হাটের প্রস্তুতির সম্পন্ন হলেও এবার ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনের দরপত্রের কার্যক্রমে বিলম্ব হওয়ার পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ায় পিছিয়ে গেছে হাট প্রস্তুতের কাজ।
শুক্রবার (৩০ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে বাঁশ, ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হলেও তাতে তোলা হয়নি কোনবানির পশু।
তবে উত্তরার দিয়াবাড়ি পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা হয়েছে কোরবানির পশু। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বেচাবিক্রি না থাকলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জমে উঠবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: যেসব দোষ-ত্রুটি থাকলে পশু কোরবানি দেয়া যায় না
পশু বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি গরু ও ছাগল নিয়ে এসেছি। বৃষ্টির কারণে বিক্রি হচ্ছে না। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে হাট জমে উঠবে বলে আশা করছি।’
জানা যায়, কোরবানির হাটে এবার এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরু থেকে আড়াই লাখ টাকার গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে এখনো পর্যন্ত দিয়াবাড়ি হাটে উঠা সবচেয়ে বড় গরুর দাম ৯ লাখ টাকা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাড়তি এবার পশুর দামও।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বৈরী আবহাওয়াতেও জমজমাট কোরবানির হাট
ক্রেতা মামুন শেখ বলেন, ‘গত বছর এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। এ বছর ওই সাইজের গরু এক লাখ ৭০ বা ৮০ হাজারের কমে পাচ্ছি না।’
ঢাকার ২ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার মোট হাট বসেছে ১৯টি। প্রতিটি পশুর হাসিল ধার্য করা হয়েছে পশুর দামের শতকরা ৫ টাকা।
]]>