প্রশাসনিক জটিলতায় পড়ে আছে ৩৬ কোটি টাকার হাসপাতাল

২ সপ্তাহ আগে
বান্দরবানের লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রধান আশ্রয়স্থল সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও দীর্ঘ ৬ বছরেও তা চালু হয়নি। প্রশাসনিক জটিলতা ও জনবল নিয়োগের বিলম্বে ৩৬ কোটি টাকার এ হাসপাতাল ভবনটি পড়ে রয়েছে অচল অবস্থায়। ফলে প্রতিদিনই শয্যা সংকটসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা।

২০০৫ সাল থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে বান্দরবান সদর হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়লেও, বাড়েনি শয্যা। এর ফলে বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। মেঝেতে থাকতে হচ্ছে অনেককে।


এছাড়া, হাসপাতালটিতে নেই আইসিইউ কিংবা সিসিইউ’র মতো জরুরি সেবা। ফলে সামান্য জটিল রোগের ক্ষেত্রেও রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।


রোগীদের এই দুর্দশা লাঘবে ২০১৯ সালে ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। সে অনুযায়ী শুরু হয় নতুন ভবনের নির্মাণকাজ। ভবনটিতে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা- আইসিইউ, সিসিইউ, আইসোলেশন ওয়ার্ড, সার্জারি ইউনিট, গাইনি ওয়ার্ডসহ আধুনিক চিকিৎসা অবকাঠামো।


নির্ধারিত সময়ে ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও, প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়ায় তা চালু করা যাচ্ছে না। ফলে লাখো মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের সম্ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।


আরও পড়ুন: বান্দরবানে আট মাসে সহিংসতার শিকার ২৬০ নারী-শিশু


বাস স্টেশন এলাকার বাসিন্দা আবু তৈয়ব বলেন, ‘পুরাতন ভবনে জায়গা হয় না। অনেক রোগীকে মেঝেতে রাখা হয়। নতুন ভবনটি চালু হলে অন্তত শয্যার অভাব কিছুটা হলেও দূর হবে।’


বনরুপা পাড়ার সুভাষ দাশ বলেন, ‘নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে। সেটি চালু করলে সেবার মান বাড়বে। আইসিইউ না থাকায় আমাদের ছোটখাটো সমস্যাতেও চট্টগ্রাম যেতে হয়। অথচ নতুন ভবনে সেই সুবিধা রয়েছে।’


এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার সিভিল সার্জন ডা. শাহীন হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নতুন ভবনের অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলেই খুব দ্রুত আধুনিক হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হবে। এটি চালু হলে সেবার মান অনেক বেড়ে যাবে।’


প্রসঙ্গত, ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবনটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকে বিপিএল ও রয়েল অ্যাসোসিয়েটস।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন