প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পরও নির্বাচন নিয়ে একমত নয় দলগুলো

২ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পরও নির্বাচনের সময়সীমাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ কারণে রাজনীতিতে এখনও শঙ্কা কাটেনি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দেশ ও মানুষের কথা মাথায় রেখে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানোর পরামর্শ তাদের।

সংস্কার, বিচার, নির্বাচন এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে জুলাই বিপ্লবের পর পথচলা শুরু করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। শুরু থেকে মত-পথের বিভাজন ভুলে অভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলকে সরকারের ওপর পূর্ণ আস্থায় সমর্থন দিতে দেখা যায়। তবে, সময় যতই গড়াচ্ছে দলগুলোর মধ্যে বিভাজনের সুর তত তীব্র হচ্ছে।


বিভিন্ন ইস্যুতে অস্থিরতার মধ্যে গত সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আগ্রহের গুঞ্জনে রাজনীতির মাঠে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। এ অবস্থায় সম্প্রতি দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু তার পরও নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে অনড় অবস্থানে বিএনপি। ডিসেম্বরেই ভোট চায় দলটি।


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।


অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী, এনসিপিসহ বিভিন্ন দল নির্বাচন বিষয়ে একমত থাকলেও রোডম্যাপ নিয়ে মতপার্থক্য আছে।


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই তিনটিই রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত।’


জামায়াতের আমির ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন-এর মধ্যে আপনি নির্বাচন দেবেন।’


আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি


বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈঠকের পর উত্তপ্ত পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলেও সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যে পৌঁছাতে পারেনি। ফলাফল আস্থার সংকট রয়েই গেছে।


বিশ্লেষকদের মতে, শুধু সরকার নয়, দলগুলোর পরস্পরের মধ্যেও সমঝোতা জরুরি। তা না হলে সংকট আরও বাড়ার শঙ্কা তাদের।


প্রথম আলোর যুগ্ম–সম্পাদক সোহরাব বলেন, ‘প্রথম দুইদিনের বৈঠকে যদি সমস্যা সমাধান না হয়ে থাকে, তাহলে আরও বৈঠক হোক, আরও আলোচনা হোক। সরকারের উচিত তার অবস্থান পরিষ্কার করা। কেনো ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব না, সরকার তার একটা ব্যাখ্যা দিক।’


তিনি আরও বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক পক্ষ যদি বলে আমরা নির্বাচনে যাব না, কারণ এই নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাহলে সরকার নির্বাচনই করতে পারবো না। সরকার যদি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে পরিস্থিতি বরং ইতিবাচক হবে। মানুষের মধ্যে যে অস্থিরতা আছে, রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে অস্থিরতা আছে তা কেটে যাবে।’


সাব্বির হোসেন বলেন, ‘এই সংলাপের মধ্য দিয়ে ইউনূস খানিকটা তার ক্ষমতার স্থিতাবস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু বৃহৎত্তর রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে যে ঐক্য সেই ঐক্য আমরা এখনও দেখছি না। এটা যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে সামনের দিনগুলোতে খারাপ হতে পারে।’


সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে, আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে নির্বাচন। এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন