ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। গত বছর পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টটা নিয়ে কোনো আগ্রহই ছিল না ফুটবল ক্লাবগুলোর। বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপে এ নিয়ে ছিল না কোনো উচ্চবাচ্য। মূলত এর পুরনো ফরম্যাটের কারণেই খুব একটা আগ্রহ দেখা যেত না ইউরোপিয়ান সমর্থকদের মধ্যে। পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে খেলা হওয়ার কথা থাকলেও গুরুত্ব এবং ব্যস্ততা বিবেচনায় সেমির আগে দেখা পাওয়া যেত না চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়নদের। আর এ কারণেই হাজার চেষ্টা করেও এ টুর্নামেন্টের আবেদন তৈরি করতে পারেনি ফিফা।
তবে, এবার সময় বদলেছে। টুর্নামেন্টের চাকচিক্য না বাড়িয়ে এর গুরুত্ব বাড়াতে নতুন কৌশল নেয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগের সেই পুরনো ফরম্যাটটাই বদলে ফেলেন তারা। নতুন ফরম্যাটে এবার বিশ্বকাপের হোস্ট সিটিগুলোতে বসতে যাছে ক্লাব বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শহরের ১২ স্টেডিয়ামে ছয় মহাদেশের ৩২ টিম অংশ নেবে এবারের আসরে। যেখানে আছে আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস, মায়ামি, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ওয়াশিংটনের মতো শহর।
স্বাভাবিকভাবেই স্টেক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আগ্রহও বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার অন্যতম দাবিদার ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড লাইতারো এবার মুখিয়ে আছেন ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে। জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারে প্রথমবার এ টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ আসায় উচ্ছ্বসিত তিনি। একই অবস্থা বায়ার্নের হ্যারি কেইনের। বায়ার্ন বহুবার এই টুর্নামেন্ট খেললেও কেইনের এটাই প্রথম।
ক্লাব বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে লাউতারো মার্তিনেজ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এমন একটা টুর্নামেন্ট খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আমি ক্যারিয়ারে প্রথমবার এমন সুযোগ পাব, এটা খুবই স্পেশাল একটা অনুভুতি। আমি শুধু সন্তুষ্ট বললে ভুল হবে, আমি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।’
আরও পড়ুন: মুসিয়ালা-রুডিগার-হাভার্টজকে ছাড়া পর্তুগালের বিপক্ষে সেমির দল ঘোষণা জার্মানির
হ্যারি কেইন বলেন, ‘এরকম একটা মেজর টুর্নামেন্টে এতদিন খেলতে পারিনি, এটা নিয়ে সবসময়ই আমার আক্ষেপ ছিল। আর বিশ্বকাপের আগে একই মাঠ, একই শহরে এত বড় টুর্নামেন্ট খেলতে পারা অবশ্যই আমার জন্য ইতিবাচক।’
লাউতারো-কেইনদের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ আসরটা একেবারে নতুন নয় সার্জিও রামোসের কাছে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অসংখ্যবার খেলার পাশাপাশি এর ট্রফি নিয়ে উৎসবের অভিজ্ঞতাও আছে এ স্প্যানিশের। কিন্তু এবার নতুন মহাদেশে নতুন ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ আসায় রোমাঞ্চিত রামোস।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ আমাকে সবসময় রোমাঞ্চিত করে। আর এবারেরটা তো সবার থেকে আলাদা। সেটা ফরম্যাটের কারণে অবশ্যই। আগের মতো শুধু দুই ম্যাচ জিতলেই হবে না। এবার আপনাকে প্রপার প্রিপারেশন নিয়ে আসতে হবে। এটা সত্যিই এক্সাইটিং।’
আরও পড়ুন: রিয়াল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মদ্রিচ
এ বছরের ১৫ জুন থেকে শুরু হবে ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। যা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।
]]>