জানা যায়, পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক। সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী। বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি উপচে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকে। সড়কবাতিগুলো জ্বলে না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থাকছে।
এলাকাবাসী জানান, পৌর এলাকায় কাঁচাপাকা সড়ক রয়েছে ২৬৩ কিলোমিটার, ড্রেন ৭২ কিলোমিটার, ডাস্টবিন ১২০টি, সড়কবাতি ৪১৭৫টি। ৯টি ওয়ার্ডে বসবাস করে ৯৯ হাজার ৮৫৪ জন জনসংখ্যা। কিন্তু সড়কগুলো ভাঙাচোরা ও ছোট ছোট গর্তে ভরা। বেশিরভাগ ড্রেনগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরা।
আরও পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, সন্ধ্যায় ভুতুড়ে পরিবেশ
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি শহিদ আবুল কাশেম সড়কে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। নানা সমস্যা আর সম্ভাবনার মধ্য দিয়েই চলতে থাকে পৌরসভার কার্যক্রম। ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। কাগজেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা থাকলেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র। নাগরিকরা তাদের সেবা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। প্রতি মুহূর্তে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
পৌর এলাকার বাসিন্দারা জানান, পৌরসভার সব বিল নিয়মিত পরিশোধ করলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছি না। রাস্তাগুলো চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ড্রেনগুলোর ওপর স্লাব না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। আর বৃষ্টি হলেই ড্রেনের নোংরা পানি রাস্তায় উঠে জলাবদ্ধতা তৈরি করছে। নোংরা পানির কারণে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা নামেমাত্র। ইউনিয়ন পরিষদের নাগারিকরা তার চেয়ে ভালো সেবা পান। পৌরসভায় নানা অনিয়মের বাসা বেঁধেছে। কারণ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় জবাবদিহিতা নেই। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের খেয়াল খুশি মত চলেন।
আরও পড়ুন: বিশুদ্ধ পানি সেবা থেকে বঞ্চিত নীলফামারী ও সৈয়দপুর পৌরবাসী
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রেজাউল করিম জানান, ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ তৈরি হচ্ছে। নতুন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই কাজ করা হবে। নাগরিকদের সব সমস্যা দূর করতে চেষ্টা করছি।