প্রতিভা থাকলেও প্রয়োগের অভাবে সাফল্য পাচ্ছে না টাইগাররা

তরুণ এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটাদের নিয়ে সম্প্রতি পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল গঠন করেছে বাংলাদেশ। আগামী বছর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে এই দল নিয়েই পরিকল্পনা এগোচ্ছে বিসিবি। ধারণা করা হচ্ছিল, তরুণদের হাত ধরে এই ফরম্যাটে বিশেষ কিছু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম সিরিজেই বড় হোঁচট খেল লিটন দাসের দল।

নতুন দল এবং নতুন নেতৃত্বে প্রথম সিরিজে আইসিসির সহযোগী দেশ আরব আমিরাতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ৷ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় থাকা লিটন দাসের দলকে মাটিতে নামিয়ে এনেছেন মোহাম্মদ ওয়াসিমরা। অনেকের মতে, এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতাগুলোর মধ্যে একটি। তবে এটা মানিতে নারাজ বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

মিঠুর মতে, 'এটা নতুন টিম। ৪ জন সিনিয়র খেলোয়াড় চলে যাওয়ায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমার ধারণা, ওদের প্রতিভা আছে শুধু প্রয়োগের অভাব। যত ম্যাচ খেলবে, তারা উন্নতি করবে। আমরা যে পর্যায়ে আছি সেখান থেকে কেবল উন্নতিই হবে।'

আরব আমিরাতের বিপক্ষে হারে কারো দোষ দেখছেন না বিসিবির এই কর্মকর্তা। এই দলটাকে একটু সময় দিলে তারা ভালো করবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন: সাকিবকে জাতীয় দলে বিবেচনা করা হবে কিনা, জানাল বিসিবি

মিঠু বলেন, 'মাঠে গিয়ে খেলে ক্রিকেটাররা, কোচ আপনাকে শুধু শেখাতে পারবে। আসলে কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই। হেড কোচ, সালাউদ্দিন কিংবা আরও যারা আছে....এটা নতুন একটা ইউনিট। একটু সময় দিলে বোঝা যাবে তারা কেমন পারফর্ম করছে। আরব আমিরাতের কাছে হারায় আমাদের খারাপ লেগেছে কিন্তু এটা অবশ্যই খেলার অংশ। এটা মানতে হবে আমাদের। তবে আমি বিশ্বাস করি এই তরুণ ছেলেদের দুর্দান্ত প্রতিভা রয়েছে। আমাদের ধারাবাহিকতা বাড়াতে হবে এবং প্রায়োগিক দিকে উন্নতি করতে হবে।'

যুদ্ধবিধ্বস্ত পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের আগে সবচেয়ে বেশি আলোনায় ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ইস্যু। কারণ এই সিরিজের আগেই পিএসএল খেলতে গিয়ে বিভীষিকাময় এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার।

নিরাপত্তা ইস্যু বিবেচনায় ক্রিকেটারদের ধাপে ধাপে দেশটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে দুটি বহরে ৮ জন ক্রিকেটার এবং অধিকাংশ স্টাফ পৌঁছেছেন সেখানে। পাকিস্তানে অবস্থানরত ক্রিকেটার এবং স্টাফদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া বিভাগের প্রধান।

তিনি বলেন, 'দল ভালো আছে৷ তারা হোটেলে এবং অনুশীলনে আছে। তারা ভালো আছে, সিচুয়েশন নরমাল। তারা খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। পাকিস্তান সবসময় সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা দেয় (খেলোয়াড়দের)। সেটা তারা সবসময়ই দেয়। এই নিরাপত্তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ বা আমাদের যে দল গেছে তারা কোনো অভিযোগ দেয়নি।'

আরও পড়ুন: বিপিএলে পাওয়া সেই চোট কাটাতে আরও ৫ মাস লাগবে আলিসের

ক্রিকেটের ভরাডুবি চলছে। গত কয়েক বছরে বলার মতো কোনো সাফল্য নেই টাইগারদের। অন্যদিকে, বিদেশি অনেক তারকা ফুটবলার আসায় আশার আলো দেখছে দেশের ফুটবলাঙ্গন। বিষয়টি ক্রিকেটের জন্য উদ্বেগজনক হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে মিঠু বলেন, ফুটবলের জোয়ারকে স্বাগত জানাচ্ছে বিসিবি। ভালো খেললে দর্শক পাশে থাকবেই।

এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, 'ফুটবলের কথা বললে....আসলে কোনোটার সঙ্গে অন্যটা তুলনা করা যায় না। ফুটবলে এখন একজন বড় খেলোয়াড় (হামজা চৌধুরি) এসেছে, একটা জোয়ার এসেছে। আমরাও এটাকে সাধুবাদ জানাই। যেরকম ফুটবলের জনপ্রিয়তা থাকা উচিত, সেরকম ক্রিকেটেরও জনপ্রিয়তা থাকা উচিত। কোনোটিতেই ভাটা বলে কোনো কথা নেই। আপনি পারফর্ম করবেন, ভালো খেলবেন, দেখবেন সমর্থকরাও আপনার পাশে আছে।'

]]>