বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে বুধবার বিকালে ফরিদপুর আদালত চত্বর থেকে ফরিদ খানকে উদ্ধার করা হয়।
ফরিদ খান ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রামখণ্ড গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ১ মে নিখোঁজ হন। পরদিন তার বোন নুরুন্নাহার বেগম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরিবার দাবি করে, ফরিদ খান অপহরণ হয়েছেন এবং অপহরণকারীরা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।
তবে উদ্ধারের পর ফরিদ খান জানান, বোনের ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। দেনার টাকা চাওয়া হলে নিজেই আত্মগোপনে যান এবং অপহরণের নাটক সাজান, যাতে পরিবার থেকে টাকা আদায় করতে পারেন।
আরও পড়ুন: অপমান-অভিমানে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর আত্মহত্যা
তিনি আরও জানান, সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলে এক ব্যক্তির সঙ্গে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ওই ব্যক্তিই ফোনে মুক্তিপণের কথা বলেন, যদিও তার নাম ও অবস্থান জানাতে পারেননি।
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন ফরিদ খান। পুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালায়। খবর পেয়ে তিনি চরাঞ্চল থেকে পালিয়ে শহরে তার উকিলের চেম্বারে এলে তাকে সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় ফরিদ খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হবে এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
]]>