প্রতারণা করে পিতামাতার কাছ থেকে জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ দুই ছেলের বিরুদ্ধে

২২ ঘন্টা আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিজ দুই ছেলের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তিন বিঘা ফসলি জমি ও দুই বিঘা পুকুর লিখে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ছানোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মোছা. মতিজান নেছা। অভিযুক্ত দুই ছেলের নাম মোক্তার হোসেন ও মানিক হোসেন। ছানোয়ার ছেলেদের ‍বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছেন।

ছানোয়ার দুই ছেলে ও তাদের স্ত্রীদের নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, প্রায় ৩ বছর আগে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে তাদের তাড়াশ উপজেলায় নেয়া হয়। ছেলেরা সেখানে পূর্বেই লিখে রাখা জমি সম্প্রদানের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রেজিস্ট্রি করে ফেলেন। ছানোয়ার-মতিজান দম্পতির অভিযোগ, জমি লিখে নেয়ার পর দুই ভাই প্রায় মাসখানেক দেখভাল করলেও পরর্বতী মাস থেকে তাদের ওপর কারণে-অকারণে চড়াও হতে থাকেন। এমনকি দুই ভাই মিলে মাঝেমধ্যে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ তাদের।


ছানোয়ার আরও জানান, দুই ছেলে ও ছেলের স্ত্রীদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে কুল-কিনারা না পেয়ে তিনি ঢাকা গিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার টাকা মাসিক বেতনে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে প্রায় দুই বছর চাকরি করেন। বয়সের কারণে ঢাকায় অসুস্থ হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। তখন নিরুপায় হয়ে গত মে মাসে বাড়িতে চলে যান। কিন্তু দুই ছেলে তাদের বাড়িতে উঠতে বাঁধা দেন। যা নিয়ে গ্রামবাসীর দ্বারস্থ হন তারা। তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিব সরকার রাজু গ্রাম্য সালিশ বসান। তবে দুই ছেলের অসদাচারণের কারণে ঝামেলার সুরাহা হয়নি।


আরও পড়ুন: বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ


মতিজান নেছা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বয়স হওয়ার কারণে তিনি ও তার স্বামী কাজ করতে পারেন না। তাই অর্থ সংকটে যা পান তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন চলে। ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিব সরকার রাজু জানান, দুই ছেলে মিলে তাদের বাবা ও মায়ের সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নিয়েছেন। যা নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে।


মোক্তার হোসেন জমি লিখে নেয়া ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাবা ও মা নিজের ইচ্ছায় আমাদের নামে জায়গা লিখে দিয়েছেন। আমরা কোনো প্রতারণা করে জমি লিখে নিইনি।


এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ওই দম্পতিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহয়তা করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন