বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রুশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে, দোনেৎস্কের শেভচেঙ্কোকে নোভোসেরহিভকা নামে আরেকটি বসতি দখল করা হয়েছে।
রয়টার্স স্বাধীনভাবে রাশিয়ার দাবি নিশ্চিত করতে পারেনি। এছাড়া এ বিষয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে পুতিনের বিচারের আহ্বান জেলেনস্কির
এদিকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার আবারো বন্দিবিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। মস্কো ও কিয়েভ জানায়, উভয় পক্ষের সৈন্যরা নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন।
ইউক্রেন জানায়, ফিরিয়ে আনা বেশিরভাগ সৈন্য ২০২২ সাল থেকে বন্দি ছিলেন। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মুক্ত সেনারা বর্তমানে বেলারুশে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা নিচ্ছেন।
ইউক্রেন জানায়, সর্বশেষ বিনিময়ে আহত ও অসুস্থ সৈন্যরাও ছিলেন, যাদের বয়স ২৪ থেকে ৬২ বছরের মধ্যে। আরও বিনিময়ের আশ্বাস দিয়েছে তারা। তবে, এই অগ্রগতির মধ্যেও কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। দখলকৃত ভূখণ্ড ছাড়তে রাজি নয় রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের দাবি মেনে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়াতে সম্মত ন্যাটো দেশগুলো
বন্দিবিনিময়ের মধ্যেই ইউক্রেনের খেরসনে রুশ বিমান হামলায় হতাহত হয়েছেন কয়েকজন। তবে সুমি অঞ্চলে রুশ আগ্রাসন প্রতিহত করার দাবি করেছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান। এতে প্রায় ৫০ হাজার রুশ সেনা মোতায়েন ঠেকানো গেছে বলে জানান তিনি। ওই এলাকায় প্রতিরক্ষা জোরদারে নতুন ইউনিটও গঠন করেছে কিয়েভ।
উভয় পক্ষই চালিয়ে যাচ্ছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। রাশিয়া জানায়, একরাতে ইউক্রেনের ৫০টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন জানায়, রাশিয়া ৪১টি শাহেদ ড্রোন ছুড়েছে, যাতে কয়েকজন আহত হন।
]]>