এর আগে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে মামালার আসামি ও নির্বাচনে আরেক প্রার্থী জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
জানা যায়, বিকেলে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষে শ্রমিক নেতা আনোয়ারকে চারমাথা বাস টার্মিনালের মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনী অফিস থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে পুলিশের পিকআপভ্যানে উঠানোর সময় মোটর শ্রমিকরা চারপাশ থেকে পুলিশ সদস্যদের ঘিরে নেয়। একপর্যায়ে তারা পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে আনোয়ারকে ছিনিয়ে নিয়ে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে নিয়ে যায়। সেখানে একটি অটোভ্যানে করে আনোয়ারকে নিয়ে সটকে পড়েন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্যদের মারধর, ছাত্রলীগ নেতাসহ দুই আসামি ছিনতাই
শ্রমিকদের অভিযোগ, আনোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও কয়েকজন শিক্ষার্থীর পরিচয়দানকারীর চাপে তাকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর বগুড়ার চারমাথায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে সটকে পড়েন।
মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, পুলিশ আনোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখাতে পারেনি। কেন তাকে আটকের চেষ্টা করেছে আমার জানা নেই৷
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্যকে কামড়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেফতার ৫
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনউদ্দিন বলেন, ‘মামলা আছে এমন অভিযোগে আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হচ্ছিলো। তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে একটি বিস্ফোরক মামলা আছে। তবে সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। তাকে গ্রেফতার চেষ্টার বিষয়টি সঠিক নয়। আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাকে হেফাজতে নিচ্ছিলাম। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ মে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ৩০ পদে ১৫০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।