বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করবেন তহারা। এতে বুয়েট এবং ঢাকায় অবস্থানরত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। পরে ডিএমপি অফিসের সামনে গিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা হলো:
- গতকালকে পুলিশি হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে শক্ত পদক্ষেপ ও শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ।
- রোকন ভাইয়ের হেনস্তাকারী অভিযুক্তদের অতিসত্বর আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করা।
- প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারিকৃত কমিটির পুনর্গঠন, আমাদের পেশকৃত দাবিগুলোর পক্ষে কমিটির আলোচনার একটি রোডম্যাপ এবং মিটিং প্রোগ্রেসের প্রিলিমিনারি রিপোর্ট অতিসত্বর প্রকাশ করা।
বুধবার পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সব সড়ক অচল হয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।
আরও পড়ুন: শাটডাউনেও ক্লাস করছেন কুয়েট শিক্ষার্থীদের একাংশ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানেগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এদিকে, সংকট সমাধানে সরকারের গঠন করা কমিটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে পাঁচ দফা দাবি জানান আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। রাতে শাহবাগ মোড়ে এসে পুলিশ হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
]]>