বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, তবে সেই শান্তির জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দ্বিতীয় বৈঠকের প্রয়োজন হবে বলেও জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের জন্যই পুতিন বৈঠকে রাজি হয়ে থাকতে পারেন: ট্রাম্প
জেলেনস্কি এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই সপ্তাহে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন, যাতে শুক্রবারের আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে এমন কোনো চুক্তি না হয় যা ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি পুতিন শান্তি স্থাপন করবেন, আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি স্থাপন করবেন, আমরা দেখব সত্যিই তারা এ বিষয়ে একমত হয় কিনা।
তবে, ট্রাম্প শীর্ষ সম্মেলন থেকে উদ্ভূত যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিয়ে আরও নেতাদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ে অনুমান করেছেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি এটি একটি ভালো বৈঠক হতে চলেছে, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি হবে আমাদের দ্বিতীয় বৈঠক। প্রেসিডেন্ট পুতিন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে, আমি একটি বৈঠক করব এবং সম্ভবত আমরা কয়েকজন ইউরোপীয় নেতাকে সাথে রাখব। আবার নাও রাখতে পারি। এটা ঠিক এখনই বলতে পারছি না।
এর আগে পুতিন আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে ট্রাম্পের সাথে একটি বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়ার সময় তার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছিলেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুন:পরবর্তী বৈঠক হবে জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে: ট্রাম্প
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে পুতিন ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমার মতে, শত্রুতা বন্ধ করতে, সংকট বন্ধ করতে এবং এই সংঘাতে জড়িত সকল পক্ষের স্বার্থে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বেশ উদ্যমী এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।