পিরোজপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল স্থগিত

৪ সপ্তাহ আগে
দীর্ঘ ২২ বছর পর বহুল প্রত্যাশিত পিরোজপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও দলীয় প্রস্তুতির ঘাটতিতে তা স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন এবং সদস্য সচিব গাজী অহিদুজ্জামান লাভলু।


তারা জানান, আগামী শনিবার (১২ জুলাই) কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে সব কাজ এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় কাউন্সিল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, সবশেষ জেলা কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৩ সালে, ঢাকায় আয়োজিত এক সম্মেলনে। ওই কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক হুইপ ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ শহিদুল হক জামাল এবং সাধারণ সম্পাদক হন বর্তমান আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন।


তবে কাউন্সিল স্থগিতের পেছনে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন তৃণমূলের অনেকে।


জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, ‘কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, আর দলের বাইরের কিছু সুবিধাভোগী ত্যাগীদের দূরে ঠেলে দিয়ে দলে অবস্থান নিতে চাইছে। ফলে ৭টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার কাউন্সিল সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।’


আরও পড়ুন: পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি কুট্টি, সাধারণ সম্পাদক টোটন


জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান শাহীন আক্ষেপ করে বলেন, ‘দলে ত্যাগীদের অবহেলা করা হচ্ছে, আমিও সেই ভুক্তভোগীদের একজন। পিরোজপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাস করলেও আমাকে একটি সাধারণ সদস্য পদেও রাখা হয়নি।’


তবে এসব দ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল, এখানে মতবিরোধ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে, তবে সেটি দ্বন্দ্ব নয়।’


জেলা কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহসম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু জানান, ‘১৭ বছরের ব্যবধানে সংগঠনের কার্যক্রমে কিছু ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে নেতারা তৃণমূলের ভোটেই নির্বাচিত হবেন— এটাই তারেক রহমানের নির্দেশনা।’


তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের পরামর্শেই কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন