এদিকে এবারের পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে জড়ানোর পর-ই দেশের দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তারা নিয়মিতভাবে এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তবে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর দুশ্চিন্তা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, নাহিদ ও রিশাদকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে আজ রাত ৯টায় পিএসএলের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল নাহিদের পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের। তবে স্টেডিয়াম এলাকায় ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ায় ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাহিদদের ম্যাচের আগে স্টেডিয়াম এলাকায় ড্রোন বিধ্বস্ত, অনিশ্চয়তায় ম্যাচ
মূলত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানে লাগাতার প্রত্যাঘাত চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। যার আঁচ গিয়ে পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনেও। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি ড্রোন গিয়ে আঘাত হেনেছে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম এলাকার একটি রেস্তোরাঁয়। তাতে রেস্তোরাঁ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি ভারতের।
এই ঘটনায় দুইজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এলাকা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে। ড্রোনটি কোথা থেকে উড়েছিল এবং তাতে কোনো বিস্ফোরক বা নজরদারি সরঞ্জাম ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে নিরাপত্তা শঙ্কায় রাওয়ালপিন্ডিতে পিএসএলের আর কোনো ম্যাচ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম সামা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডি থেকে পিএসএলের দশম আসরের বাকি ম্যাচগুলো সরিয়ে নেওয়া হতে পারে করাচিতে।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরির আক্ষেপ, সিরিজ জয় বাংলাদেশের
এদিকে শোনা যাচ্ছে, নিরাপত্তা শঙ্কায় বিদেশি ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের বাইরে, বিশেষ করে দুবাইতে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার দেশে ফিরে যাওয়ার চিন্তাও করছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখন পুরো বিষয়টি কীভাবে সামাল দেন, সেটাই দেখার পালা।
এবারের পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ৫ ম্যাচ খেলেছেন রিশাদ। তবে এখনো পেশোয়ারের জার্সিতে অভিষেক হয়নি নাহিদের।
]]>