শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে নিম্নচাপটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে দমকা বাতাস ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। বিশেষ করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।
এদিকে, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের যৌথ প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দুদফা জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বেড়িবাঁধের বাইরের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল। রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রচণ্ড বেগে পানি প্রবেশ করায় গ্রামাঞ্চলে দুর্ভোগ বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পানি ঢুকে ঘরবাড়ি, ফসলের জমি ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে নদীর পানি কমলেও ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
অন্যদিকে, কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সাগরে বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। সমুদ্র বন্দর ও আশপাশের এলাকার জেলেদের তীরে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আজ বিকেল নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পায়রা, চট্টগ্রাম ও মোংলা— দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদেরকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন এবং দুর্যোগকালীন নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।