রোববার (১ জুন) দুপুরে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠক শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মইন উদ্দিন এ নির্দেশনা জারি করেন।
তিনি জানান, পাহাড়ে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কাও আছে। এ বর্ষণ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। লামার বেশিরভাগ কটেজগুলো পাহাড়ের উপরে। তাই পাহাড় ধসে যাতে কোনো পর্যটকের প্রাণহানি না ঘটে, তাই রিসোর্টগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও জানান, ভারি বর্ষণ থামলে এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কা কেটে গেলে রিসোর্টগুলো আবারও খুলে দেয়া হবে।
এদিকে, বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত) বান্দরবানে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারি বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধসের শঙ্কা, ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
আর বান্দরবানের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানান, ভারি বৃষ্টির ফলে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। তবে তা এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিওদের সমন্বয়ে ‘দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।