উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম মো. রায়হান (১০)। সে আল ইহসান হাফেজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মাদ্রাসার চারতলার এসির আউটডোর ইউনিটে এক শিশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিষয়টি হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধার করে তার মা মাহমুদা বেগম ও মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আরিফ বিল্লাহর কাছে হস্তান্তর করে।
ঘটনার সময় আশপাশের শতাধিক মানুষ ভবনের নিচে জড়ো হয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের দৃশ্য দেখেন। তারা ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জীবিত শিশুকে কবর দেয়ার চেষ্টায় জড়িত সেই হাসপাতাল সিলগালা
শিশুটির মা মাহমুদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে রায়হান পবিত্র কোরআনের ১৮ পারা হাফেজ। এর আগেও অন্য এক মাদ্রাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল। আজও মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে নিচে নামতে না পেরে এসির আউটডোরে আটকে যায়।’
মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) হাফেজ মাওলানা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘রায়হানকে দুই দিন আগে ভর্তি করা হয়। আজ সে পালানোর চেষ্টা করে ভবনের চারতলায় গিয়ে আটকে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তাকে উদ্ধার করে।’
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে শিশুটি কীভাবে সেখানে আটকা পড়ল, তা নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারেনি।’
তিনি বলেন, আবাসিক মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও সতর্ক থাকা উচিত, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
আরও পড়ুন: পর্যটনে সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনা!
স্থানীয়দের তোলা ভিডিও ও স্থির ছবিতে দেখা যায়, চারতলার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় শিশুটি বেশ কিছুক্ষণ ধরে আটকে ছিল। সামান্য ভারসাম্য নষ্ট হলে হয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
]]>