পার্কিংয়ের নামে চাঁদা আদায় সবারই জানা। কিন্তু পার্কিং না করে শুধু সড়ক ব্যবহারের জন্যও চাঁদা দেবার নজির ঘটছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নাকের ডগায়। বছরের পর বছর ধরে তুঘলকি এই কাণ্ড জারি আছে গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটে।
গত ৫ আগস্টের পর কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল এই কার্যক্রম। তবে সম্প্রতি সেটি শুরু হয়েছে দ্বিগুণ বেগে। চাঁদার কারণে কেবল সাধারণ চালকরাই নন খোদ স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকানিরাও বিরক্ত। ভুক্তভোগীরা বলছেন, স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় ঢুকলেই দিতে হয় চাঁদা। তবে প্রশাসনের গাড়িগুলো ছাড় পায়, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো ছাড় নেই।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্টের পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি করছে কারা?
অভিযোগ আছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্টেডিয়াম মার্কেটের গেটগুলোতে ইজারা দিলেও তাদের শর্ত মানছে না ইজারাদার। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি তারা এসব বিষয়ে কিছুই জানে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি যাচাইবাছাই করা হবে। ইজারাদারকে ডাকা হবে। শর্তের ব্যত্য়য় ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুলিস্তান থেকে এবার নজর দেয়া যাক মতিঝিলের আইডিয়াল কলেজের সামনের সড়কে। সরজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ সিটির নথিভুক্ত এই পার্কিং স্পটে সর্বোচ্চ ৮৩টি গাড়ি পার্ক করার নিয়ম আছে। তবে ইজারাদার নির্ধারিত জায়গা ছাপিয়ে শত শত গাড়ি পার্ক করছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আগে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩০ টাকা নিলেও এখন নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। কোনো ছাড় নেই।
একই দশা চলছে নিউমার্কেটেও। ফলে দিনভরই যানজটে নাকাল হন আজিমপুর ও সায়েন্সল্যাব রুটে চলাচলকারী লাখো মানুষ। এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি নয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যদিও পুলিশ বলছে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবেন তারা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সড়ক যেন চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য!
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
নথি বলছে, বিগত বছরগুলোতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পার্কিংয়ের জন্য ইজারা দেয় ২৬টি স্পট। এর মধ্যে বর্তমানে ইজারা চালু আছে ১০টি স্পটে। ইজারাদাররা যেমন নিয়ম মানছেন না তেমনি অন্তত শতাধিক অবৈধ পার্কিং চালু আছে রাজধানী জুড়ে।
]]>